রামুর মিঠাছড়িতে হাফেজ বাহিনীর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম!

শাহনেওয়াজ জিল্লু :

রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়িতে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে হাফেজ আহমদ ও তার দলবল। এলাকায় নিয়মিত মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে তার সাম্রাজ্য। আর এসব অপকর্মে কেউ বাঁধা হয়ে দাড়ালেই তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। প্রতিপক্ষকে মারধর, হামলা ও হুমকি ধমকি দিয়ে পুরো এলাকাকে তটস্থ করে রেখেছে বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের নিকট অভিযোগও পাওয়া গেছে।

হাফেজ বাহিনীর কমান্ডার স্থানীয় সুলতান আহমদের পুত্র হাফেজ আহমদ (৩৮) তার দলবল নিয়ে এসব অপকর্ম করে গেলেও আশ্রয় প্রশ্রয়ের সুযোগ নিচ্ছে তার বড় ভাই স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি সাবের আহমদের। অভিযোগ উঠেছে মধ্যম সারির একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রহস্যজনকভাবে তাকে মাথায় তুলে রেখেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাফেজ আহমদ ইয়াবা ব্যবসা, তারি ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টায় চৌধুরী পাড়া স্টেশনে স্থানীয় জাফর আহমদের পুত্র মুফিজুর রহমানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে হাফেজ আহমদ ও তার দলবল। মুফিজুর রহমানের উপর হামলার কারণ হিসেবে জানা যায়- হাফেজ আহমদ তার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে মুফিজকে সহযোগীতা করতে বলে। কিন্তু মুফিজ এবিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারী হাফেজ আহমদের সাথে সহযোগী হিসেবে ছিলো- নুরুল ইসলামের পুত্র শয়ন চৌধুরী(২৫), মোহাম্মদ আলীর পুত্র আজিজ বাহাদুর(৩২) এবং সুলতান আহমদের পুত্র নুর মোহম্মদ (২২)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ঘটনাস্থলে রামু থানা পুলিশের এস.আই ইমতিয়াজ উপস্থিত হয়েছিলেন এবং হাফেজ আহমদের কাছে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেন। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে রহস্যজনক ভাবে পুলিশ আসামীকে আটক না করে শুধুমাত্র অস্ত্রটি জব্দ করে চলে যায়। সেখানে হাফেজের বড় ভাই সাবের আহমেদ তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে ঘটনাটির মিমাংসা করে দেওয়ার ভান করেন এবং হাফেজকে নিরাপদে নিয়ে নেন।

এ বিষয়ে হাফেজ আহমদের বড় ভাই সাবের আহমদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার ছোটো ভাইয়ের অপরাধ সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন বলে জানান। ভবিষ্যতে হাফেজ আহমদ কোনো অপরাধ করলে নিজেই আইনের হাতে সোপর্দ করবেন বলে জানান। অপরদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাবেরই মূলত প্রভাব খাটিয়ে হাফেজ আহমদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।

এবিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল খায়ের জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শীগ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর